বিত্র কুরআন শিশুদের গ্রন্থ নয়। এই গ্রন্থ শিশুদের জন্য নাযিল হয়নি। সুতরাং শিশুদের কুরআন বোঝানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। শিশুদের কুরআন শেখানোর জন্য একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। কুরআন শেখার জন্য প্রথমে তাজবিদ শিখতে হয়। তাজবীদ শিক্ষা মূলত কুরআন পড়ার জন্য, বোঝার জন্য নয়। সুতরাং শিশুদের প্রথমে তাজবীদ শেখাতে হবে। শিশু যখন ১২ বছর বয়সে উপনীত হবে তখন তাদের কুরআনের ক্লাসিকাল আরবি ভাষা শেখানো উচিত। তাদের আরবি শেখাতে হবে কুরআন বোঝার জন্য, আরবিতে কথা বলা বা লিখতে পারার জন্য নয়। কুরআনের ক্লাসিকাল আরবি ভাষা শেখা কঠিন কাজ নয়। কেউ চাইলে উপযুক্ত সিলেবাস অনুসরণ করে এক বছরের মধ্যে এটি শিখতে পারে। ক্লাসিকাল আরবি ভাষা শেখা শেষ হলে কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াত তাদেরকে পড়াতে হবে। এই প্রক্রিয়া ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চলবে। ১৮ বছর বয়সে উপনীত হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কুরআন বুঝে পড়ার জন্য তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো আমরা ভুল পদ্ধতিতে শিশুদের কুরআন শেখাই। যার ফলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
(উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির লেকচারের আলোকে)
অনুবাদ: আলমানার ইনস্টিটিউট
Leave a Reply