?
(নবীপত্নী হযরত আয়েশা (রা)-এর বিয়ের বয়স ৬ / ৯ নিয়ে ধোঁয়াশা কেবল ইসলামের গণ্ডীর বাইরে নয়, ইসলামের অনেক বিশেষজ্ঞও এই ব্যাপারে যথাযোগ্য উত্তর দিতে ব্যর্থ। ফলে বিষয়টি নানা প্রশ্ন তৈরি করলেও এর উত্তর আমাদের ইসলামি জ্ঞানের পরিমণ্ডলে এখনো মোটাদাগে অনুপস্থিত। তাই এই বিষয়ের সঠিক উত্তর জানার জন্য ইসলামি চিন্তাবিদ উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি সাহেবের মতামত এখানে তুলে করা হলো।)
বিষয়টি পবিত্র কুরআন দিয়ে বর্ণনা করার মতো নয় এবং এটি রাসূল (সা)-এর সুন্নাহ সম্পর্কিত কোনো বিষয় নয়। বরং এটি ইতিহাসের বিষয়৷ আর ইতিহাস সম্পর্কে প্রত্যেক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির এটা অনুধাবন করা উচিত এই ইতিহাস কোনো সমসাময়িক ইতিহাসবিদ দ্বারা লেখা হয়নি৷ রাসূল (সা)-এর যুগে এবং রাসূল (সা)-এর ইন্তেকালের পরে আট-নয় দশক পর্যন্ত কোনো ইতিহাসবিদ ছিলো না। এই ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছে রাসূল (সা)-এর ইন্তেকালের একশ বছর পরে মানুষের মৌখিক বর্ণনার উপর ভিত্তি করে৷ আর এই ইতিহাস গুলোই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলছে৷
আমাদের হাদিস বিশারদগণ এই মৌখিক ঘটনাগুলোকে প্রকাশ করেছিলেন ইসলামি ইতিহাস লিখে রাখার ক্ষেত্রে৷ আমাদের ইতিহাসবিদেরাও এই বর্ণনাগুলোর উপর আস্থা রাখেন৷ তার মানে, একশ বছর যাবত কোনো একজন ইতিহাসবিদও এই ইতিহাস সংগ্রহ করার জন্য আসেননি৷ যখন একজন সমসাময়িক ইতিহাসবিদ ইতিহাস লেখেন তখন তিনি পুরো বিষয়টাকে নিয়ে ধীরেসুস্থে পর্যবেক্ষণ করেন, তার ইতিহাসবিদ মনোভাবের জন্য৷ কিন্তু মানুষ যখন সেটা বর্ণনা করে তখন তারা সেটা তাদের নিজস্ব পন্থায় বর্ণনা করে এবং ঘটনার গতিপথ পাল্টে ফেলে৷
মানুষের বর্ণনা করা ঘটনাগুলোই একত্র করে পরবর্তীতে ইসলামের ইতিহাস লিখিত হয়েছে৷ আর এভাবেই বর্ণনায় এসেছে যে, আয়েশা (রা)-এর বিয়ের সময়ে তার বয়স মাত্র ৬ বছর ছিলো এবং রাসূল (সা)-এর সাথে সহবাসের সময়ে তার বয়স ৯ বছর ছিলো৷ আপনারা এই বিষয়ে আমার বই ‘মাক্বামাত’ থেকে পড়তে পারেন৷ ঐ বইয়ে একটি প্রবন্ধ রয়েছে যেখানে আমি আয়েশা (রা)-এর বিয়ের সময়ে তার বয়স নিয়ে কিছু প্রশ্ন রেখেছি৷ এই প্রশ্নগুলো ইতিহাসবিদদের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তৈরী করা৷ আমি তা আপনাদের সামনে পেশ করবো এবং আপনারা বুঝতে পারবেন এই বক্তব্য গ্রহনযোগ্য বা যুক্তিসংগত কিনা৷
এখানে যেভাবে বিষয়গুলো বর্ণনা করা আছে, সেগুলো নিয়ে আপনারা কেউ যদি আরো ঘাটাঘাটি করতে চান তাহলে ইসলামি ইতিহাসের প্রথম বই ‘তাবাক্বাত ইবনে সাদ’ থেকে সাইয়্যেদাহ আয়েশা (রা)-এর অধ্যয়ের অনুবাদ দেখে নিতে পারেন৷ আমি আমার প্রবন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স এই বই থেকে উল্লেখ করেছি৷
হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাইয়্যেদাহ খাদিজা (রা)৷ যখন রাসূলুল্লাহ (সা) খাদিজা (রা)কে বিয়ে করেন, তখন তার বয়স ছিলো পচিশ বছর৷ আর খাদিজা (রা) সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন বিধবা এবং তার সন্তানাদিও ছিলো। বিভিন্ন ব্যাখ্যায় তার বয়স ৩৮-৪০ এর মতো বর্ণিত হয়েছে৷ তিনি রাসূল (সা)-এর সাথে অনেক লম্বা সময় অতিবাহিত করেছেন৷ দীর্ঘ পচিশ বছর রাসূল (সা)-এর স্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত থেকে অবশেষে তিনি ইন্তেকাল করেন৷ সেই সময়ে রাসূল (সা) ৫০ বছর বয়সে উপনীত হন৷ খাদিজা (রা)-এর ইন্তেকালের পর রাসূল (সা) ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োগ করেন। পাশাপাশি অর্থোপার্জন করতেন এবং নিজ সন্তানদের দেখাশোনা করতেন৷ এই সমস্ত দায়দায়িত্ব বাহ্যিকভাবে রাসূল (সা)কে দুর্বল এবং মনমরা বানিয়ে ফেলেছিলো ৷ রাসূল (সা) তার প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা)-এর অভাববোধ করতেন প্রতিমুহুর্তে৷ একদিন খাওলা (রা) নামের এক নারী সাহাবি যাতায়াতের সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর পাশ দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করছিলেন। তিনি তখন রাসূল (সা)কে দেখে বললেন “হে আল্লাহর রাসূল (সা) আমি আপনাকে বিপদগ্রস্ত এবং দুর্দশাগ্রস্ত দেখে চিন্তিত হচ্ছি৷ আপনার ঘর এবং সন্তানাদি দেখাশোনার জন্য কেউই নেই। কেন আপনি বিয়ে করছেন না?” রাসূল (সা) জিজ্ঞেস করলেন,“তোমার জানামতে এমন কেউ আছে বিয়ে করার মতো?” রাসূল (সা) তখন ৫০ বছরের বয়স্ক ছিলেন এবং তার সন্তানাদিও ছিলো৷
ঘরের কাজকর্ম করার জন্যে একজন ব্যাক্তির স্ত্রীর সাহায্য দরকার৷ আবার একজন স্ত্রীও তার স্বামীর সাথে পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে কাজকর্ম করে থাকেন৷ একজন স্ত্রী শুধুমাত্র যৌন চাহিদা পূরনের জন্যই নয়, বরং সে তার স্বামীর জীবনসঙ্গী৷ খাওলা (রা) সেসময় রাসূল (সা)কে পরামর্শ দিলেন একজন স্ত্রী ঘরে আনার জন্য যাতে সে রাসূল (সা) এর যত্ন নিতে এবং বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে পারেন৷ রাসূল (সা) খাওলা (রা)কে জিজ্ঞেস করলেন, তার খোঁজে এমন কোনো নারী আছে কিনা৷ খাওলা (রা) জবাব দিলেন “হ্যা, একজন অবিবাহিত কুমারী মেয়ে আছে এবং একজন বিধবা নারীও আছেন বিয়ের জন্য৷” রাসূল (সা) জিজ্ঞেস করলেন “কুমারী মেয়েটি কে?” খাওলা (রা) জবাবে বললেন “তিনি আপনার ভাই-সম এবং বন্ধু হযরত আবু বকর (রা) এর কন্যা৷” আরেকজন হলেন সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী নারীদের একজন সাইয়্যেদাহ সাওদা (রা)। তার বয়স ৫০ বছর এবং তিনি বিধবা৷ এখন আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আমি বিশ্বাস করি এবং আপনারাও নিশ্চয়ই বিশ্বাস করেন, একজন নারী সাহাবি যখন রাসূল (সা)-এর সাথে কথা বলছেন তখন সে অবশ্যই পরিপূর্ণ সচেতনভাবেইে কথা বলছেন। আপনাদের কি মনে হয় তিনি একজন ৬ বছর বয়সের বাচ্চার সাথে রাসূল (সা)-এর বিয়ের প্রস্তাব দিবেন? একজন ব্যাক্তি বিয়ে করে তার জৈবিক চাহিদা পূরনের জন্য, যা এই বয়সে সম্ভব নয়। আবার বাচ্চাদের দেখাশোনা করাও এই বয়সে সম্ভব নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সন্তানেরাও আয়েশা (রা)-এর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন৷ তাহলে খাওলা (রা) কি রাসূল (সা)কে আরেকটি বাচ্চার দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছিলেন যেখানে রাসূল (সা) এর ইতিমধ্যে ঘরে বাচ্চা রয়েছে? এই অবস্থা সম্পর্কে জানার পরেও একজন মানুষের কাছে এরকম চিন্তাভাবনা গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা? খাওলা (রা) এই পরামর্শ দেয়ার পর রাসূল (সা) তাকে বললেন তাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য৷ কেউ যখন এরকম পরামর্শ দেয় তখন তাকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা ছাড়া আর কিই বা বলা যায়? রাসূল (সা) বললেন “যদি তারা সম্মতি দেয় তাহলে আমি তোমার উপদেশ মেনে বিয়ে করবো৷” খাওলা (রা) তখন আবু বকর সিদ্দিক (রা)-এর পরিবারের কাছে গেলেন এবং রাসূল (সা)-এর জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিলেন৷ এখন দেখুন আবু বকর (রা)-এর পরিবারের প্রতিক্রিয়া কিছিল, আবু বকর (রা)-এর পরিবার বললেন, তারা ইতিমধ্যেই কয়েক বছর পূর্বে আয়েশা (রা)-এর জন্য আরেকটি বিয়ের প্রস্তাব ঠিক করে ফেলেছিলেন৷ কিন্তু ইসলামে গ্রহণ করার পরে সেই পরিবার বিয়ে পাকাপাকি করতে অসম্মতি জানায়৷ যদি আয়েশা (রা) সেসময় ৬বছর বয়স্কা হতেন তাহলে তার বয়স যখন প্রায় তিন বা চার ছিলো তখন তার পরিবার তার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহন করেছিলেন! এটা কি বিশ্বাস করা যায়? খাওলা (রা) তখন আবু বকর (রা)-এর পরিবারের এরূপ জটিলতার কথা শুনে সাইয়্যেদাহ সাওদা (রা)-এর কাছে গেলেন৷ সাওদা (রা) এই প্রস্তাবে রাজী হলেন৷ ফেরার পথে খাওলা (রা) জানতে পারলেন যে, আয়েশা (রা)-এর বিয়ে যেখানে ঠিক হয়েছিলো সেখানে আবু বকর (রা) গিয়েছিলেন, কিন্তু তারা আবু বকর (রা)কে বলেছেন যে, যেহেতু আবু বকর (রা) পথভ্রষ্ট হয়ে গেছেন (অর্থাৎ মুসলমান হয়েছেন), তাই তারা আর আগাবে না৷
এভাবে সেই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গেলো৷ যেহেতু রাসূল (সা) দুটি পরিবারেই বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন সেহেতু তিনি দুজন মহিলাকেই গ্রহণ করলেন এবং নববধূ হিসেবে বিধবা সাইয়্যেদাহ সাওদা (রা)কে তার ঘরে নিয়ে আসলেন৷ এর পেছনে কারণ হলো, যেহেতু রাসূল (সা) একজন বয়স্কা মহিলাকে নিয়ে আসলেন যিনি ছিলেন বিধবা এবং ৫০ বছর বয়সের অধিকারী, তার সাথে যদি একজন যুবতী কুমারী মেয়েকেও নিয়ে আসেন তাহলে কুমারী মেয়েটির অধিকার লঙ্ঘন করা হবে৷ তাই রাসূল (সা) দুটি প্রস্তাব গ্রহন করা সত্বেও সাওদা (রা)কে প্রাধান্য দিলেন৷ রাসূল (সা) নিজেও জানতেন যে, সাওদা (রা) বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে পারবেন এবং ঘরের কাজকর্ম সঠিকভাবে করতে পারবেন৷ আয়েশা (রা)-এর বিয়ে তখনও সম্পন্ন হয়নি৷ এরপর তিন বছর মক্কায় এবং দুই বছর মদীনায় অতিবাহিত করার পরে আবু বকর (রা) রাসূল (সা)কে অনুরোধ করেন আয়েশা (রা)কে নিজ গৃহে নিয়ে আসার জন্য। কারণ যেহেতু দুই পক্ষই সম্মত হয়েছিলো বিয়েতে৷ তখন রাসূল (সা) সাওদা (রা)-এর কাছে গেলেন এবং বললেন, যদি তার আয়েশা (রা)-এর বিয়ে নিয়ে কোনো আপত্তি থাকে তাহলে তিনি চাইলে তালাক নিতে পারেন রাসূল (সা) এর কাছ থেকে৷ সাওদা (রা) বললেন “আমি এমন বয়সে উপনীত হয়েছি যে আমার কোনো পুরুষের সঙ্গ দরকার নেই, আমি শুধু চাই শেষ নবীর স্ত্রী হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে, তারজন্যে আমি আপনার সমস্ত সময় নববধূর জন্য উৎসর্গ করে দিলাম৷” এর পরই রাসূল (সা) আয়েশা (রা)কে নববধূ হিসেবে ঘরে নিয়ে আসেন৷ এই হচ্ছে পুরো ঘটনা৷
এটা কি কোনো ছয় বছরের বাচ্চার ক্ষেত্রে সম্ভব? কোনো যুক্তি বা জ্ঞানে এই সত্যতা সমর্থন করার সম্ভাবনা আছে কি? কেউ বলতে পারবেন এমন কথা? এখন আপনাদের বলি আসলে কী হয়েছে৷ আরবীতে সংখ্যাগণনা ইংরেজীর মতোই৷ উর্দুতে আমরা ২২ -কে বলি ‘বাইশ’, ইংরেজীতে আমরা বলি ‘Twenty two’৷ সম্ভবত কোনো বর্ণনাকারী ‘আশার (দশ)’ সংখ্যাটি বাদ দিয়েছে ষোল বছর থেকে, অর্থাৎ‘সিত্তাতা আশার’ এবং এরপর থেকেই লোকেরা ছয় বছর বলা শুরু করেছে৷ উদাহরণস্বরূপ, আরবীতে ১৬ অথবা ১৯ সংখ্যাকে পড়া হয় ‘সিত্তাতা আশার’ অথবা ‘তিসআতা আশার’৷ আয়েশা (রা) এর বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রেও এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ অতএব এটা শুধুই কল্পনাপ্রসূত কথা যেখানে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই৷ কোনো যুক্তি-জ্ঞান বা ব্যাখ্যাই এসব দাবি গ্রহণ করে না৷ আমাদের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে খালদূন তার ‘মুক্বাদ্দিমাহ’তে একটি সঠিক নীতি ব্যাখ্যা করেছেন, যখন আপনি একটি ঘটনা বর্ণনা করবেন তখন এটাকে বিশুদ্ধ বলার পূর্বে যুক্তিসঙ্গত ভাবে মূল্যায়ন করে দেখবেন৷ শুধুমাত্র এরপরই কোনো ব্যাখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য বলে বিবেচনা করবেন৷ আমি আপনাদের নিকট পুরো ঘটনাই বর্ণনা করলাম৷ এর বাইরেও আরো কিছু নিদর্শন আছে যা প্রকাশ করে আয়েশা (রা)-এর বিয়ের সময় তার বয়স ষোল থেকে উনিশ বছর ছিলো৷ তার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহনের সময় তার এই বয়স ছিলো এবং কয়েক বছর পরে রাসূল (সা)-এর সাথে তার সহবাস হয়েছে৷ এই ঘটনা নিয়ে আমার যে সমস্ত অনুসন্ধান ছিলো তা আপনাদের সামনে বয়ান করলাম৷ যদি আপনারা এই বিষয়ে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আমার বই ‘মাক্বামাত’ এর ‘সাইয়্যেদাহ আয়েশা (রা) এর বয়স’ শিরোনামের প্রবন্ধটির মধ্যে বিস্তারিত পাবেন৷ বর্তমান যুগের বিভিন্ন গবেষকরা এই বিষয়ে বই লিখেছেন৷ বিখ্যাত দেওবন্দি স্কলার মাওলানা নিয়াজ আহমেদ ‘কাশফ আল-গুম্মাহ আন উমরে উম্মু আল-উম্মাহ’ নামক একটি বই লিখেছেন। যেখানে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন৷ আয়েশা (রা)-এর বিয়ের সময়ে তার বয়স ৬ বা ৯ কোনোভাবেই ছিলো না। এটা শুধুই একটি গল্প যার বাস্তবে কোনো ভিত্তি নেই৷ তিনি সেসময় বিয়ের উপযুক্ত বয়সেই ছিলেন এবং ইতিমধ্যে তার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করাও হয়েছিলো একটি পরিবার থেকে৷ খাওলা (রা) অনেক বিবেচনা করেই এই বিয়ের প্রস্তাবনাটি করেছিলেন। এটা বিশ্বাস করেই যে, আয়েশা (রা)-এর যথাযথ সক্ষমতা ছিলো ঘরের কাজকর্ম করার৷ অতএব আপনাদের উচিত এসব ভিত্তিহীন গল্পকে বিশ্বাস না করা ৷ কিছু লোক এই গল্পগুলোকে যথাযথ বিশ্লেষণ ছাড়াই বিশ্বাস করে এবং যুক্তিসংগত জ্ঞানকে গ্রহণ করতে একগুঁয়েমি দেখায়৷
(লেখাটি উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি সাহেবের লেকচার থেকে বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে)
অনুবাদক: মিনহাজ আমান
Leave a Reply