ইতিকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি রোজার পূর্ণতা দেয়। রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (স.) নিয়মিত ইতিকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ২০৪১; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ১১৭২)। যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর বিশ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ২০৪৪)
ইতিকাফের ফজিলত:
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, “ইতিকাফকারী ব্যক্তি গুনাহ থেকে বিরত থাকে এবং তার জন্য নেক আমলগুলো এমনভাবে লেখা হয়, যেন সে সব সময় নেক আমল করছে।” (সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিস নং: ১৭৮১)
ইতিকাফের নিয়ম ও মাসায়েল:
১. ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের নিয়তে যেকোনো সময় মসজিদে অবস্থান করা যায়। ইতিকাফের জন্য রোজা থাকা আবশ্যক। রাতের বেলা খাওয়া-দাওয়া করা যায়, তবে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহতায়ালা বলেন: وَلَا تُبَـٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَـٰكِفُونَ فِى ٱلْمَسَـٰجِدِ (মসজিদে এতেকাফরত অবস্থায় [রাতের বেলায়ও] স্ত্রীদের কাছে যেয়ো না)। (সুরা বাকারা : ১৮৭)
২. রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, রাসুলুল্লাহ (স.) রমজানের শেষ দশকে নিয়মিত ইতিকাফ করতেন। এই শেষ দশকে লাইলাতুল কদর হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
৩. ইতিকাফ অবস্থায় অনিবার্য প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। যেমন প্রস্রাব-পায়খানা সারার জন্য, খাবার এনে দেওয়ার কেউ না থাকলে খাবার আনার জন্য, গোসল জরুরি হয়ে পড়লে গোসলের জন্য, যে মসজিদে ইতিকাফ করা হচ্ছে সেটি জামে মসজিদ না হলে অন্য মসজিদে গিয়ে জুমা পড়ার জন্য।
৪. রমজানের শেষ দশকে কোনো মসজিদে ইতিকাফ না হলে মহল্লার সবাই গোনাহগার হবে, এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, ইতিকাফ সর্বাবস্থায় একটি নফল ইবাদত।
লেখক: মাওলানা উমর ফারুক
ইতিকাফ

Leave a Reply