লেখক ও অনুবাদক ইমদাদ হোসেন ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে চাঁদপুর জেলয় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পরিসংখ্যানে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
ছোটবেলা থেকে মানুষের জীবনঘনিষ্ট বহু প্রশ্ন তাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে, আর সেখান থেকেই ধর্ম নিয়ে একাডেমিক পদ্ধতিতে গবেষণার একটা ঝোক ধারণ করেছেন।ফলশ্রুতিতে ইসলামের বিভিন্ন বই অধ্যয়ন, ইসলামকে আরও ভালভাবে উৎস থেকে পড়ার তাকিদে মুফতি জাহিদুল হক আযহারী [রহ.]-এর নিকট অধ্যয়ন এবং বিভিন্ন বিষয়ে টুকটাক লেখালেখি ও অনুবাদের সূচনা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ চলার সময় থেকেই বিভিন্ন বইয়ের অনুবাদ হাত দেয়া হয় এবং সেই সুবাদে বেশকিছু পাণ্ডুলিপি তৈরি হয়। মূলত বই অনুবাদ, অধ্যয়ন এবং ইসলামের একাডেমিক ময়দানে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত অল্প অল্প করে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করার জন্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ:
১) ১০০১ আবিষ্কার: মুসলিম সভ্যতার অনন্য গৌরবগাথা
২) মোটিভেশনাল মোমেন্টস-১ [মুফতি ইসমাঈল মেনক]
৩) মোটিভেশনাল মোমেন্টস-২ [মুফতি ইসমাঈল মেনক]
৪) নবীদের দুআ [উস্তাদ নুমান আলি খান]
৫) রিক্লেইম ইউর হার্ট [ইয়াসমিন মুজাহিদ]
তিনি আল মানার ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মূলত ইসলামের নির্ভেজাল রূপ অনুসন্ধানের পথে তিনি উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির সন্ধান পান। অন্য সকলের মতো প্রথম দেখায় তেমন গুরুত্ব না পেলেও ধীরে ধীরে প্রতীয়মান হতে শুরুর করে যে, উস্তাদ গামিদি আসলে ইসলামের অন্যতম সুপণ্ডিত, যিনি যেকোনো প্রশ্নকে মুকাবিলার হিম্মত রাখেন এবং সেগুলোকে একাডেমিকভাবে উত্তর দিয়ে থাকেন। এরপর বাকিটুকু ইতিহাস। এরই ধারাবাহিকতায় সম্পৃক্ত হয়েছেন ইসলামকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অধ্যয়নের কাফেলা তথা ‘আল মানার ইনস্টিটিউট’-এর সাথে এবং কাজ করে যাচ্ছেন উস্তাদ জাভেদ আহমাদ গামিদির গোটা সাহিত্য ভাণ্ডারকে বাংলায় প্রকাশের জন্য।
Leave a Reply