সূরা পরিচিতি:
স্বীয় বিষয়বস্তুর আলোকে এই সুরাটি মহাবিশ্বের প্রভু খোদা তায়ালার দরবারে হাজির হয়ে ঐ সরল পথের দিশা লাভের দোয়া যা ছিলো নববি জামানার প্রতিটি সুস্থ প্রকৃতি ও বিবেকসম্পন্ন মানুষের পরম আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। ইহুদি ও খ্রিস্টানরা নিজেদের বিচ্যুতি ও পথভ্রষ্টতা দ্বারা যেভাবে দ্বীনের চেহারা বিকৃত করেছে, তাতে এই পথের হিদায়েত পরিণত হয় প্রতিটি অন্তরের ফরিয়াদে। মানুষের হৃদয়ের সেই আকুতিটাকেই আল্লাহ তায়ালা এই সূরার অতুলনীয় ও চির অম্লান কথামালা দিয়ে ভাষার রূপ দিয়েছেন এবং আপন নবীর মুখ দিয়ে তা প্রকাশ করিয়েছেন।
তাওরাত ও ইনজিলের পর আসমান থেকে নতুন এক হিদায়েত লাভের দোয়াই হচ্ছে এই সুরার কেন্দ্রীয় বিষয়। কুরআনের প্রথম অধ্যায়ের মাদানি সুরাগুলোর সাথে এই সুরার যে সম্পর্ক, যা আমরা ইতোমধ্যে অধ্যায়টির পরিচিতি পর্বে তুলে ধরেছি, অর্থাৎ বিষয়বস্তুকে সংক্ষিপ্ত ও বিশদভাবে তুলে ধরা এটা ছাড়াও এই বিষয়ের আলোকে এই সুরাটি কুরআনের একটি ভারসাম্যপূর্ণ মুখবন্ধ বা ভূমিকাও বটে। এই বিবেচনায় এটা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, কুরআনের প্রথম সুরা ফাতিহা, যা উম্মুল কুরা নামে পরিচিত মক্কাতে রাসুল (صَلَّی اللہُ عَلَیْہِ وَسَلَّمْ)–কে রিসালাতের দায়িত্ব প্রদানের পর তার উপর নাযিল করা হয়েছিল।
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِۙ ﴿۲﴾ مٰلِكِ یَوْمِ الدِّیْنِؕ ﴿۳﴾ اِیَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاكَ نَسْتَعِیْنُؕ ﴿۴﴾ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَۙ ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ١ۙ۬ۦ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْ وَ لَا الضَّآلِّیْنَ۠ ﴿۷﴾
আল্লাহর নামে; যিনি করুণার আধার, চির দয়ালু।
কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রতি, যিনি বিশ্বজাহানের প্রভু।
করুণার আধার, চির দয়ালু।
Leave a Reply