প্রশ্ন: কুরবানির সময়ে পশু কেনার জন্য অনেক টাকা ব্যয় করা হয়। কুরবানি না দিয়ে সেই টাকা গরিব মানুষকে দান করা যাবে? অথবা অন্য কোনো সামাজিক কাজে ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর: আপনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসে আমাকে এই প্রশ্ন করছেন? এখানে যখন নিউ ইয়ার উদযাপন করা হয় তখন কত টাকা ব্যয় হয় আপনি তা জানেন? পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়; প্যারেড-কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এই কাজে কি অর্থ ব্যয় হয় না? মানুষ হিসাব কষে কষে জীবন-যাপন করতে পারে না। মানুষের হৃদয় আছে আর সেই হৃদয়ের মধ্যে আছে আবেগ।
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি অন্যান্য ইবাদাতের মতো কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কের প্রতীকী প্রকাশ ঘটে থাকে। সুতরাং এ ধরনের অজুহাত পেশ না করাই ভালো। পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা প্রায় দাবি উত্থাপন করে যে, বসন্তের উৎসব পুনরায় চালু করতে হবে। আমি এটিকে নাজায়েজ বলছি না। এগুলো বিনোদনের জন্য প্রয়োজন আছে। কিন্তু এই উৎসব আয়োজনে কি কোটি টাকা ব্যয় হয় না?
কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। আল্লাহর জন্য আমরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত রয়েছি, এই বিষয়টি কুরবানির মাধ্যমে প্রতীকীভাবে প্রকাশ পায়। আমার মতে কুরবানি ইবাদাতের পূর্ণতা। নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর মহেত্ত্বের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। রোজার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে থাকি। আমরা নিজেদের জীবন আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে প্রস্তুত রয়েছি, এটি কুরবানির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সুতরাং সঠিক পদ্ধতিতে গুরুত্বের সাথে আমাদের কুরবানি দেয়া উচিত।
(উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি সাহেবের লেকচারের আলোকে)
অনুবাদ: আল মানার ইনস্টিটিউট
Leave a Reply